দেশের রপ্তানি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ ট্রফি ও সনদ প্রদান করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সফলতার জন্য দেশের ব্যবসায়ীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশংসনীয়। সরকার রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সবধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রপ্তানিকারকদের পলিসি সাপোর্ট ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সেইসাথে উত্পাদনের সাথে জড়িত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামীতে ইপিজেড থেকে রপ্তানি কারকদেরও জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হবে। এতদিন তারা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, ১৯৭২-৭৩ অর্থ বছরে দেশের পাট, চা ও চামড়া রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৩৪৮ কোটি টাকা। অথচ বর্তমানে ১৯৯টি দেশে বাংলাদেশের ৭৭২টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে এ রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য দেশের ট্রেডিশনাল রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি নন-ট্রেডিশনাল আইটেম রপ্তানির উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। দেশের আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, কৃষিপণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য রপ্তানি বাণিজ্য উন্নয়নে মূখ্য ভূমিকা পালনকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমুহকে প্রতিবছর জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২৯টি পণ্য ও ২৯টি সেবার ৩২টি খাতের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে গতকাল জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হয়। এবছর সর্বমোট ২৯টি স্বর্ণ, ২০ রৌপ্য এবং ১৪টি ব্রোঞ্চ পদক প্রদান করা হয়। এবার মোট ৬৩টি রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ও সনদ প্রদান করা হলো।
বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী,এমপি, সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্রাচার্য্য।
